চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত জনপ্রিয় খল নায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘দানবীর’ খেতাব পেলেও এবার তার তিন বোন অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে। তবে এমন অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
অভিনেতা ডিপজলের মতে, একটি মহল তাকে ও তার পরিবারকে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন কাজ করছে, যেখানে তার বোনদের সামনে রেখে বিষয়গুলো মিডিয়াতে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি তিনি জানান, তার বোনের ছেলে প্রিন্সও এ মিথ্যা প্রচারণা ও অপপ্রচারে জড়াচ্ছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
মিডিয়াকে ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো কখনোই উচিত নয় উল্লেখ করে স্ট্যাটাসে মনোয়ার হোসেন ডিপজল লিখেছেন, পারিবারিক বিষয়কে প্রকাশ্যে এনে কাদা ছোড়াছুড়ি করা শুধু দুঃখজনক নয়, এটি একজন মানুষ ও একটি পরিবারের সম্মানের ওপর সরাসরি আঘাত। আজ আমি গভীর কষ্ট ও ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে এই কথাগুলো বলতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ রক্তের সম্পর্ক নিয়ে, মা–বাবার নাম জড়িয়ে প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করা যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক—তা শুধু ভুক্তভোগীরাই বোঝে।
তিনি লিখেছেন, ইট হার্টস ডিপলি হোয়েন ইওর ওউন ফ্যামিলি বিকামস অ্যা টুর ফর স্প্রেডিং লাইস।
স্ট্যাটাসে ডিপজল দাবি করেন, সারা দেশে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হেয় করার জন্য একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে, যেখানে আমার বোনদের সামনে রেখে বিষয়গুলো মিডিয়াতে ছড়ানো হচ্ছে। এটা শুধু অন্যায় নয়, এটা অমানবিকও।
তিনি লিখেন, আমাদের বড় ভাই ইন্তেকাল করেছেন। এখনো আমরা দুই ভাই বেঁচে আছি। আমি এককভাবেই সবসময় আমার বোনদের খোঁজখবর রেখেছি, আমার ছেলে-মেয়েরাও তাদের পাশে ছিল। অথচ মিডিয়াতে এসে বলা হচ্ছে—মা মারা যাওয়ার পর আমরা নাকি কোনো খোঁজ রাখিনি। দিজ স্টেটমেন্ট ইজ কমপ্লিটলি ফলস অ্যান্ড হার্টব্রেকিং। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো—আমার সন্তানদের নিয়েও মিথ্যা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে তারা নাকি তাদের খালা-ফুপুদের চিনেই না। একজন বাবা হিসেবে এটি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও বেদনাদায়ক।
এক সময়ের জনপ্রিয় এ খল অভিনেতা বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই—আমার মা জীবিত থাকাকালীন সময়েও, যখন অনেকেই পাশে ছিলেন না, তখন আমি—ডিপজল—আমার মাকে সর্বোচ্চ সম্মান, নিরাপত্তা ও ভালো পরিবেশে রেখেছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত কিছুদিন পর পর মাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতাম। তাঁর সব চিকিৎসা ও ঔষধ ছিল দেশের বাইরে থেকে আনা। মায়ের চিকিৎসা, যত্ন ও মানসিক শান্তির বিষয়ে আমি কখনো কোনো আপস করিনি। মাকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলা—এটা শুধু অপবাদ নয়, এটা একজন সন্তানের অনুভূতিকে চরমভাবে আঘাত করার নাম। ইভেন মাই মাদারস ডিগনিটি ওয়াজ নট স্পেয়ার্ড।
তিনি বলেন, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে চাই—মা ইন্তেকাল করার পর আমার বোনেরা বরং কোনো খোঁজখবর রাখেনি। আমি—ডিপজল—একাই আমার মায়ের জানাজা, দাফন ও যাবতীয় খরচ বহন করেছি। এই সত্য আমার গ্রামের মানুষ ভালোভাবেই জানেন। দ্য লোকাল পিপল আর উইটনেস টু দিস ট্রুথ।
এখানেই শেষ নয় উল্লেখ করে তিনি জানান, তার বোনের ছেলে প্রিন্স যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তখন আত্মীয়তার দায় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি। ম্যানেজারের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার মেয়ে অলিজা জামাইসহ প্রিন্সদের বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে এবং পাশে দাঁড়িয়েছে।
সেই প্রিন্স ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে উঠেও মিথ্যা প্রচারণা ও অপপ্রচারে জড়াচ্ছে দাবি করে স্ট্যাটাসে ডিপজল বলেন, ‘এটা অনেক বেশি বেদনার ও হতাশার।
শিগগিরই সবকিছুর যথাযথ তথ্যপ্রমাণসহ মিডিয়াতে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।
এরআগে ডিপজলসহ তিন ভাই বোনদের দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মাসাৎ করেছে উল্লেখ করে পারভীন বলেন, বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী মোট সম্পত্তি আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা ধরেছি। তিন ভাইয়ের তিন হাজার কোটি। আমাদের চার বোনের দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। অথাৎ প্রতিজনের পাঁচশো কোটি টাকার সম্পত্তি। আমি কী পাঁচশো কোটি টাকা সম্পত্তি ভাইদের নাম লিখে দেব? ভুয়া দলিল দেখিয়ে বলছে বোনরা লিখে দিয়েছে। আমরা এত পাগল না যে টিপ সই দিয়ে তাদের লিখে দেব। আমাদের চার বোনের দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি তার (ডিপজলের) কাছে। এই চল্লিশ বছর সম্পত্তি বাবদ কোথা থেকে কত ভাড়া নিয়েছে আমাদের জানা আছে।

































